বুড়িচং প্রতিনিধি।।
ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন তরুণরাই ভবিষ্যাত জ্ঞান বিজ্ঞানে অগ্রসর হয়ে পৃথিবীর নেতৃত্ব দিবে। বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব কল্যাণ সাধিত করবে যা আজ কৃষি সহ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে সাধিত হয়েছে। কৃষি জমিতে আগে প্রতি কানি জমিতে ৫ মণ ধান উৎপন্ন হতো। মানুষ বৃদ্ধির সাথে সাথে কৃষি জমি কমে গেলে ও আমাদের কৃষিজ ফসলের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪ গুণ। ফলে এক সময় ৭ কোটি মানুষের অন্ন সংস্থান হতে কষ্ট হতো।
অথচ আজ প্রায় ১৭ কোটি লোকের অন্নের অভাব হয় না। এখন এক কানি জমিতে ২০ মণ ধান উৎপন্ন হয়। তাই দেশের সম্ভাবনাময় বৈশ্বিক পরিবর্তনসহ সকল ক্ষেত্রে আজকের তরুণরাই বিজ্ঞানের সহায়তা নিয়ে নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করে দেশের উন্নয়নকে আরো ত্বরান্বিত করবে।
উপরোক্ত কথাগুলো বলেন কুমিল্লার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর। তিনি ৩০ নভেম্বর কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা প্রশাসনে উদ্যোগে এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদঘরের তত্ত্বাবধানে ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় কোভিড-১৯ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ৪২ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলা সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আখলাক হায়দার। বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহকাকিমিশনার (ভূমি ) তাহমিদা আক্তার, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. পান্না আক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. মীর হোসাইন মিঠু, বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হক (পিপিএম)।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল মান্নানের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী অনুপ কুমার বিশ্বাস, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আ: আউয়াল, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রোকসানা খানম মুন্নী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তা মোস্তফা মাইদুল মোর্শেদ মুরাদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রওশন আরা, বিআরডিবি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল সারোয়ার, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা, সহকারি শিক্ষা অফিসার আরিফুল আজমসহ অন্যান্য বিভাগীয় কর্মকর্তা বিভিন্ন বিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষক ও সাংবাদিকগণ ।
প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় স্থাপিত স্টলের মধ্যে স্কুল পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করে বুড়িচং উপজেলার কালী নারায়ণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে বুড়িচং আনন্দ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করে বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রী কলেজ, পারুয়ারা আবদুল মতিন খসরু ডিগ্রী কলেজ ও কালিকাপুর আবদুল মতিন খসরু কলেজ। পরে অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও ক্রেস্ট প্রদান করেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page